গণতন্ত্রের স্বরূপ কি ইসলাম ও আধুনিক বিশ্বে?

"গণ" শব্দের অর্থ জনসাধারণ বা জনতা। যেমন গণআন্দোলন মানে জনতার আন্দোলন বা সংগ্রাম।আর "তন্ত্র" অর্থ মত, পথ, পদ্ধতি , নকশা , System, Scheme, order ইত্যাদি। সুতরাং শব্দিক অর্থে,  গণতন্ত্র হল, জনতার পদ্ধতি বা জনতার পছন্দ মতো শাসন পরিচালনার পদ্ধতি। মূলতঃ গণতন্ত্র, রাষ্ট্র পরিচালনার একটা পদ্ধতি। যেখানে জনগণের মতামতের প্রতিফলন রয়েছে। 
 

 
গণতন্ত্রের স্বরূপ কি ইসলাম ও আধুনিক বিশ্বে?
গণতন্ত্রের স্বরূপ কি ইসলাম ও আধুনিক বিশ্বে?



         'গণতন্ত্র' ইসলাম ও আধুনিক বিশ্বেঃ

পৃথিবীতে তিন ধরনের সরকার বা শাসন ব্যবস্থা দেখা যায়। ১।স্বৈরাচারী সরকার। ২।রাজতান্ত্রিক সরকার
৩।গণতান্ত্রিক সরকার।

১। স্বৈরাচারী সরকারঃ

যে শাসন ব্যবস্থা, সরকার প্রধান বা রাষ্ট্রপতির মর্জি মত পরিচালিত হয়, তাই হল, স্বৈরাচারী সরকার। জনগণের মতামতের গুরুত্ব দেয়া হয় না।

২। রাজতান্ত্রিক সরকারঃ

যে শাসন ব্যবস্থা, রাজ পরিবার দ্বারা পরিচালিত হয়,তাই হল, রাজতান্ত্রিক সরকার। যেখানে জনগণের মতামতের প্রতিফলন নেই বললেই চলে।

৩। গণতান্ত্রিক সরকারঃ


যে শাসন ব্যবস্থা, জনগণের মতামতের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়, তাই হল, গণতান্ত্রিক সরকার।
আব্রাহাম লিংকনের মতে, গণতন্ত্র হল, জনগণের সরকার, জনগণ দ্বারা নির্বাচিত, জনগণের কল্যাণের জন্য পরিচালিত সরকার।
মোট কথা গণতন্ত্র হল, জনগণের ইচ্ছা বা মর্জি মাফিক পরিচালিত সরকার পদ্ধতি। 

 

ইসলামে গণতন্ত্র আছে কি না?

হ্যাঁ, ইসলামী সরকার হল,গণতান্ত্রিক সরকার। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ মুসলিমই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয় এবং তারা তা মানে না। তারা  অধিকাংশই স্বৈরাচারী মনোভাব পোষণ করে আর তার চর্চা করে। আজকালকার  মুসলিমদের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা থাকলে, যে কোন সমালোচনা তারা হজম করতে পারতো এবং তার সুন্দর জবাব দিতেও তারা শিখে যেত।

 

ইসলাম গণতন্ত্রের উপর প্রতিষ্ঠিতঃ

দলীলঃ
রাসুল সঃ এর ১০ বছর আর খোলাফায়ে রাশেদার ৩০ বছর সহ মোট ৪০বৎসর ইসলামী রাষ্ট্র গণতন্ত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল।
(তারপর আমিরে মুয়াবিয়ার মাধ্যমে শুরু হয় রাজতন্ত্রের ইতিহাস আর ভারতীয় উপমহাদেশে ১৭৫৭ইং সালে ইংরেজদের সাথে পলাশী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে রাজতন্ত্রের অবসান হয়।আর অন্যান্য অঞ্চলে ১৯০০ইং সালের পরেও তারা রাজতন্ত্রের চর্চা অব্যহত রাখা অবস্থায় তাদের শাসনের অবসান ঘটে।

অতএব, মুসলিমদের রাজতন্ত্রের ইতিহাস ১০০০ বছরেরও বেশী।এখনো সৌদিআরবে সহ আরো অনেকগুলো মুসলিম দেশে ও অনেক মুসলিমের কাজে কর্মে রাজতন্ত্র অথবা স্বৈরাতন্ত্রের চর্চা অব্যহত রয়েছে।)

২। রাসুল সঃ বিদায় হজ্জের ভাষণে বলেছেন, কোন ক্রীতদাসও যদি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয় তাহলে, তোমরা তাকে মেনে নিবে।

৩। হযরত ওমর রাঃ এর দুইটি মজলিস ছিল।
ক। মজলিসে আম, খ। মজলিসে খাস।
ক।'মজলিশে আমের' সদস্য ছিল, সাধারণ জনগণ। সেখানে সকল শ্রেণী পেশার লোকজন তাদের মতামত তুলে ধরতে পারতো।
খ। আর 'মজলিশ খাসের' সদস্য ছিল, বিশেষ ভাবে বাছাইকৃত কিছু সদস্য। মজলিসে আমের প্রস্তাবগুলো, মজলিসে খাসে যাচাই-বাছাই করে তা রাষ্ট্রীয় কাজে প্রয়োগ করা হতো।

৪। হযরত ওমর রাঃ বলেছেন, "পরামর্শ ব্যতীত কোনো খিলাফত চলতে পারে না।"

৫। আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীকে পরামর্শ করতে বলেছেন। সূরা আল ইমরান (آل عمران),   আয়াত: ১৫৯
وَشَاوِرْهُمْ فِى ٱلْأَمْرِ
(হে নবী!)এবং কাজে কর্মে তাদের (সাহাবীদের) সাথে পরামর্শ করুন।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের গুণ বর্ণনা করে বলেন,
وَأَمْرُهُمْ شُورَىٰ بَيْنَهُمْ
"তারা পারস্পরিক পরামর্শ ক্রমে কাজ করে"।
সূরা আশ্ শূরা-৩৮।

৬। ক্ষমতার উৎস আল্লাহ তায়ালা। কিন্তু জনগণ না চাইলে সে ক্ষমতা পাওয়া যায় না। যে সকল নবী-রাসুল ক্ষমতা পেয়েছেন, তারা সবাই জনগণের সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় ছিলেন। আর জনসমর্থনই হল গণতন্ত্রের মূল মন্ত্র ।
রাসুল সঃ মাত্র ১৩ বৎসর রাজনীতি করে প্রায় ১০০% জনসমর্থন নিয়ে মদীনা ইসলামী রাষ্ট্রের প্রধান হলেন। আবার প্রায় ১০বছর পর প্রায় ১০০% জনসমর্থন নিয়ে মক্কা বিজয় করলেন। এই হল রাসুলুল্লার গণতান্ত্রিক রাজনীতি। কতইনা উঁচু মানের রাজনীতি ছিল তাঁর!

৭। ইসলামে আইনের প্রধান ও মূল উৎস পবিত্র কোরআন শরীফ। আর ২য় উৎস, মহানবী  সঃ এর হাদীস ও খোলাফায়ে রাসেদার সুন্নত। পবিত্র কোরআন-হাদীসের আইনকে কার্যকর করার জন্যও জনমত তৈরী করা জরুরী। নচেৎ তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। আর জনমত গঠন করতে গণতন্ত্রেরই চর্চা করতে হয়।

 

যারা বলেন, "ইসলামে গণতন্ত্র নাই।"

যারা বলেন, "ইসলামে গণতন্ত্র নাই।" তাদের দলিল হল,"যদি তুমি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মত চল, তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে দিবে। "-সূরা আন’আম-১১৬।

আমাদের জবাব হলঃ

১। কোরআন ও হাদীস যে বিষয়ে ফায়সালা দিয়েছে, তাতে কারো কথা শুনা যাবে না, এটা ঠিক। কিন্তু তার জন্যও জনমত গঠন করতে হবে, আর এটাই গণতন্ত্র।

২। যে বিষয়ে কোরআন-হাদীসের সরাসরি ফায়সালা নাই, তাতে তো অধিকাংশের কথা মেনে নিতে হয়। ফিকাহর ভাষায়,"অধিকাংশের মতেই ফায়সালা হবে।"

৩। গণতন্ত্র বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে, দাওয়াতি কাজ করার দরকার কি? শক্তি প্রয়োগ করে জনগণকে ইসলামী আইন মানতে বাধ্য করলেই হয়।

৪। পৃথিবীর সব ইসলামী দল জনগণের নিকট ভোট চায়। আর ভোট চাওয়াটাই গণতন্ত্রের অংশ।
সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, ইসলাম গণতন্ত্রে উপর প্রতিষ্ঠিত।

 

খেলাফত ও গণতন্ত্রের মিল ও অমিলঃ

১) খেলাফত শব্দের অর্থ প্রতিনিধিত্ব। এই প্রতিনিধিত্ব  কার? ক। এটা রাসূল সঃ এর প্রতিনিধিত্ব। খ ।এটা জনগণের প্রতিনিধিত্ব।
অপর দিকে গণতন্ত্র হল, শুধু মাত্র জনগণের প্রতিনিধিত্ব। (অমিল)

২) খেলাফতে, আইনের ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূলের আইন কে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। আর কোন ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূলের আইন  পাওয়া না গেলে, অধিকাংশের মতের ভিত্তিতে আইন  তৈরী করা হয়।
আর গণতন্ত্রে, সকল আইন অধিকাংশ জনগণের মতামতের ভিত্তিতে তৈরী করা হয়। (অমিল)

৩) খেলাফতে,খলিফার প্রতি অধিকাংশ জনগণের অনাস্থা দেখা দিলে, খলিফাকে পদ ত্যাগ করতে হয়।
আর গণতন্ত্রেও অধিকাংশ জনগণের অনাস্থা দেখা দিলে, রাষ্ট্র প্রধানকে পদ ত্যাগ করতে হয়। (মিল)
যেমনঃওমর রাঃ ঈদের বাজার করার জন্য ১মাসের বেতন অগ্রিম চাইলে, ওমর রাঃকে বলা হয়েছিল,  আমীরুল মুমিনীন! অগ্রিম বেতন বরাদ্দের জন্য দুটি বিষয়ে আপনাকে ফয়সালা দিতে হবে।

প্রথমত আগামী মাস পর্যন্ত আপনি বেঁচে থাকবেন কি না?
 

দ্বিতীয়ত, বেঁচে থাকলেও মুসলমানেরা আপনাকে খিলাফতের দায়িত্বে বহাল রাখবে কিনা?’

৪) খেলাফতে, নির্বাচন কমিশন আছে। কমিশন একজনকে মনোনীত করেন, তারপর অধিকাংশ জনগণ তার কাছে বায়াত নিলে, তিনি খলিফা হতে পারেন।
আর গণতন্ত্রেও নির্বাচন কমিশন আছে। কমিশন কয়েক জনের মধ্যে ভোটাভুটির ব্যবস্থা করেন। যিনি বেশি ভোট পান, তাকে নির্বাচনে জয়ী ঘোষণা করেন। (প্রায় মিল)

৫) খেলাফতে কোন নির্দিষ্ট মেয়াদ নাই। অধিকাংশ জনগণের অনাস্থা তৈরি হলে, খলিফা যে কোন সময় পদত্যাগ করতে হবে।
আর গণতন্ত্রে সরকার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত হয় আর নির্দিষ্ট সময়ের পর আবার ভোটাভুটির মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয় অথবা বহাল থাকে। (প্রায় মিল)

৬) খেলাফতে, জনগণের মতামত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।
আর গণতন্ত্রেও জনগণের মতামত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। (মিল)

৭) খেলাফতে, জনগণ নামাযের সময় দৈনিক ৫বার তাদের আমির বা নেতার সাথে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পায়।
আর গণতন্ত্রে, জনগণ তাদের নেতার সাথে সরাসরি কথা বলার সুযোগ কম পায়। (প্রায় মিল বরং  খেলাফতে বেশি সুবিধা রয়েছে)

সুতরাং দেখা যায়,
১) এই ৭টা পয়েন্ট বা বিষয়ের মধ্যে ৫টা বিষয়েই খেলাফত ও গণতন্ত্রের মধ্যে মিল/ প্রায় মিল রয়েছে।

২) খেলাফত থেকে গণতন্ত্রকে বাদ দিলে সেটাকে খেলাফত বলা যাবে না।

৩) খেলাফতের গণতন্ত্রে, 'খলিফাদের ক্ষমতা' জনগণের অনাস্থা তৈরি হলে যেকোন সময় চলে যেতে পারে।
৪)গণতন্ত্রের চেয়ে খেলাফত অনেক উন্নত পদ্ধতি।

 

'গণতন্ত্র' বলতে উন্নত সমাজে  কি কি  অর্থ বুঝায়?

'গণতন্ত্র বা জনমত' বলতে উন্নত সমাজে যে যে  অর্থ বুঝায়, টা হলঃ

গণতন্ত্রের অনেকগুলো অর্থ রয়েছে -
 

১। গণতন্ত্র হল - সমালোচনা করার সুযোগ থাকা । তিনি যত বড় ক্ষমতাবান ও মহান ব্যক্তিই হন । আল্লাহ তায়ালা বলেন, "আর আপনার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত আপনার গুণকীর্তন করছি এবং আপনার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি। তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না।"
[সূরা বাকারা - ৩০] এখানে ফেরেস্তাগণ আল্লাহ তায়ালার সমালোচনা করেছেন।

২। গণতন্ত্র হল - সমালোচনা সহ্য করে সত্যতা যাচাই করে নিজেকে সংশোধন করা এবং সমালোচনাকারীকে ধন্যবাদ দেয়া । ৩। গণতন্ত্র হল - পরমত ও পরধর্ম সহিষ্ণুতা । ৪। গণতন্ত্র হল - অন্যের মত জানতে চাওয়া [ছোট কিংবা বড় ], গুরুত্ব দিয়ে শোনা , উপলব্দি করা ও ভালটা গ্রহণ করা ।[ ৩৯ সুরা যুমার -১৮ ] ৫। গণতন্ত্র হল - কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সুযোগ থাকা । ৬। গণতন্ত্র হল - অন্যকে যুক্তিসংগত উপায়ে বুঝিয়ে দেয়া । [১৬ সুরা নহল -১২৫ ] ৭। গণতন্ত্র হল - রাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা । ৮। গণতন্ত্র হল - সত্যকে মেনে নেয়া । ৯। গণতন্ত্র হল - সহজ ও উত্তম পথ বেছে নেয়া । ১০। গণতন্ত্র হল - ভালো কাজে প্রতিযোগীতা করা । 

 ১১। গণতন্ত্র হল - মত প্রকাশের স্বাধীনতা । ১২। গণতন্ত্র হল - মনের কথা বলতে পারা। ১৩। গণতন্ত্র হল - চিন্তা করে কথা বলা ও বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করা । ১৪। গণতন্ত্র হল - অন্যের ভালো কাজের প্রশংসা করা। ১৫। গণতন্ত্র হল - অন্যের দোষ অন্বেষণ না করা। ১৬। গণতন্ত্র হল - পরস্পরে ভাই - বন্ধুর সম্পর্ক। ১৭। গণতন্ত্র হল - অন্যকে কষ্ট না দেয়া। ১৮। গণতন্ত্র হল - নিজের ভুল তালাশ করা । ১৯। গণতন্ত্র হল - ভদ্রভাবে অন্যের ভুল ধরিয়ে দেয়া। ২০। গণতন্ত্র হল - অহংকার না করা।

 ২১। গণতন্ত্র হল - বিনয়ী হওয়া। ২২। গণতন্ত্র হল - বড়দের শ্রদ্ধা করা ও ছোটদের স্নেহ করা। ২৩। গণতন্ত্র হল - ভদ্রভাবে কথা বলা ও কাজ করা। ২৪। গণতন্ত্র হল - ভালো কাজের ও ধৈয্যের উপদেশ দেয়া। ২৫। গণতন্ত্র হল - সমাজের সবার সাথে মিলেমিশে থাকা। ২৬। গণতন্ত্র হল - সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা। ২৭। গণতন্ত্র হল - অন্যকে আপনার সমান সুযোগ-সুবিধা দেয়া। ২৮। গণতন্ত্র হল - আপোষ মিমাংসা করা । ২৯। গণতন্ত্র হল - অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করা। ৩০। গণতন্ত্র হল - সবার মঙ্গল কামনা করা । 

৩১।গণতন্ত্র হল - অন্যকে সমাজের উপরের স্তরে উঠতে সাহায্য করা, ক্ষতি না করা। ৩২। গণতন্ত্র হল - নিজের জন্য যা পছন্দ অন্যের জন্য তাই পছন্দ করা । ৩৩। গণতন্ত্র হল - স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিশ্চয়তা। ৩৪। গণতন্ত্র হল - আইন সবার উপর সমান ভাবে প্রযোজ্য। ৩৫। গণতন্ত্র হল - ইনসাফ বা ন্যায়সঙ্গত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। ৩৬। গণতন্ত্র হল - V I P সুবিধা না চাওয়া। ৩৭। গণতন্ত্র হল - প্রাণখুলে হাসতে পারা। ৩৮। গণতন্ত্র হল - অন্যের ও নিজের সময় নষ্ট না করা। ৩৯। গণতন্ত্র হল - অপচয় না করা। ৪০। গণতন্ত্র হল - মিতব্যয়ী হওয়া। 

৪১। গণতন্ত্র হল - কম সময়ের মধ্যে যথাযথভাবে কাজ শেষ করা।  ৪২। গণতন্ত্র হল - সুন্দর করে গুছিয়ে কাজ করা।  ৪৩। গণতন্ত্র হল -পরিকল্পিত ভাবে কাজ করা। ৪৪। গণতন্ত্র হল - নিজেকে ও পরিবেশকে পরিষ্কার - পরিচ্ছন্ন রাখা। ৪৫। গণতন্ত্র হল - অন্যের জন্য বেঁচে থাকা। ৪৬। গণতন্ত্র হল -সমাজের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা ও চিন্তা করা।  ৪৭। গণতন্ত্র হল - অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ না করা। ৪৮। গণতন্ত্র হল - অন্যের কল্যাণ সহ্য করা। ৪৯। গণতন্ত্র হল - প্রতিবেশীর সাথে ভালো ব্যবহার করা। ৫০। গণতন্ত্র হল - অন্যের জন্য ভালো কিছু করা। 

৫১। গণতন্ত্র হল - অন্যের মনে কষ্ট না দেয়া। ৫২। গণতন্ত্র হল - অন্যের সাথে হাসিমুখে কথা বলা। ৫৩। গণতন্ত্র হল - কারো সাথে হাসি মুখে সাক্ষাৎ করা। ৫৪। গণতন্ত্র হল - উত্তম পন্থায় বিতর্ক করা। ৫৫। গণতন্ত্র হল - ভালোবাসা , ভালোবাসা ছাড়া গণতন্ত্র অচল। ৫৬। গণতন্ত্র হল - অন্যে আপনার সাথে ভালোবেসে সময় কাটাতে পছন্দ করা। ৫৭। গণতন্ত্র হল - আয় বৈষম্য কম থাকা। ৫৮। গণতন্ত্র হল - অভাব সীমিত রাখা। ৫৯। গণতন্ত্র হল -আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা। ৬০। গণতন্ত্র হল - বিদ্যার অহংকার না করা।  

৬১। গণতন্ত্র হল - জানার আগ্রহ থাকা। ৬২। গণতন্ত্র হল - দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী মনে করা। ৬৩। গণতন্ত্র হল - বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কাজ করা। ৬৪। গণতন্ত্র হল - আইন মেনে চলা। ৬৫। গণতন্ত্র হল - নেতার আদেশ- নিষেধ মেনে চলা। ৬৬। গণতন্ত্র হল - নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে অন্যকে খুশী করা। ৬৭। গণতন্ত্র হল - জবরদস্তি না করা। ৬৮। গণতন্ত্র হল - দলগত ও সামাজিক ভাবে জীবন - যাপন করা। ৬৯। গণতন্ত্র হল - বিশ্বাসের মর্যদা দেয়া। ৭০। গণতন্ত্র হল - রুটিং মাফিক চলা। 

৭১। গণতন্ত্র হল - সময় মত কাজ করা। ৭২। গণতন্ত্র হল - সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করা। ৭৩। গণতন্ত্র হল - সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো। ৭৪। গণতন্ত্র হল - সাধারণভাবে অন্যের ব্যপারে ভালো ধারনা পোষণ করা। ৭৫। গণতন্ত্র হল - ভুল করার স্বাধীনতা থাকা। ৭৬। গণতন্ত্র হল -ভুল হলে স্বীকার করা ও sorry বলা। ৭৭। গণতন্ত্র হল - অন্যের অপরাধ ও ভুল ক্ষমা করা এবং সংশোধন হওয়ার সুযোগ দেয়া ।
     

উন্নত সমাজের জন্য গণতন্ত্রের চর্চা অপরিহায্য ।কারণ গণতন্ত্রহীন সমাজে সকল খারাপ কাজ হতে পারে । আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে গণতন্ত্র চর্চা করার তৌফিক দান করুন- আমিন।
 

গণতন্ত্রের স্বরূপ কি ইসলাম ও আধুনিক বিশ্বে?
গণতন্ত্রের স্বরূপ কি ইসলাম ও আধুনিক বিশ্বে?


[তথ্য সূত্র - পবিত্র কোরআন শরীফ, মহানবীর জীবনী , খোলাফায়ে রাশেদার যুগের ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান ।]





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ