ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজের অবস্থান ২য়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা অনেক বার সালাত তথা নামাজ কায়েমের কথা বলেছেন। আমাদের তাই নামাজ কায়েমের অর্থ জানা জরুরী।
নামাজ কায়েমের অর্থঃ
মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাঃ তাঁর প্রতিষ্ঠিত মদিনা রাষ্ট্রে, নামাজ কায়েম করে দেখিয়েছেন কিভাবে নামাজ কায়েম করতে হয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ৪৩
وَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُوا۟ ٱلزَّكَوٰةَ وَٱرْكَعُوا۟ مَعَ ٱلرَّٰكِعِينَ
অর্থঃআর নামাজ কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাজে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয়।
নামাজ কায়েমের অর্থঃ
নামাজ কায়েমের অর্থ ৩টা ১। নিজে নামাজ পড়া, ২।অন্যকে নামাজ পড়তে উৎসাহিত করা, ৩। নামাজের নিয়ম কানুন সমাজে প্রতিষ্ঠা করা।
নামাজের নিয়ম কানুনঃ
নামাজের নিয়ম কানুনের মধ্যে রয়েছে,
১। সমাজ তথা রাষ্ট্রের ইমাম নামাজের ইমাম হবেন।
২। রাষ্ট্র প্রধান রাজধানীর কেন্দ্রীয় মসজিদে আর তার প্রতিনিধি রাজধানীর বাহিরে বিভিন্ন জেলার জুমা মসজিদে নামাজের ইমামতি করবেন।
৪। জুমা মসজিদের সকল খরচ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে মেটানো হবে। আর ওয়াক্তিয়া মসজিদের খরচ ব্যক্তিগত ভাবে মেটানো হবে। মসজিদে কোন দান বাক্স থাকবে না।
৫। মসজিদের কোন কমিটি থাকবেনা।মসজিদের সকল দায়িত্ব রাষ্ট্রপ্রধান পরিচালনা করবেন।
৬। কারো কোন সমস্যা থাকলে ইমাম সাহেব তথা জনপ্রতিনিধির নিকটে বলবেন এবং তা সমাধান করে নিবেন।
৭। রাষ্ট্রপ্রধানের অনুপস্থিতিতে নামাজের ইমামতি করবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট বা ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট।
৮। ওয়াক্তিয়া মসজিদে উপস্থিত মুসল্লীদের থেকে একজন নামাজের ইমামতি করবেন।
৯। জুমার নামাজের শর্ত পূরণ হলেই, জুমার নামাজ ফরজ হবে, নচেৎ ফরজ হবে না।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ করুন। আর সেই অনুযায়ী আমল করে রাষ্ট্রীয় শিরক ও বিদয়াত মুক্ত জীবন যাপন করার তৌফিক দান, আমিন।
সূত্রঃ হাদীস শরীফ ও ইসলামের ইতিহাস।
0 মন্তব্যসমূহ